মানুষ এখন পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় বেশি
পরিমানে কাপড় কিনে এবং তা ফেলেও দেয়।
বাহ্যিক সৌন্দর্য (দৃষ্টিনান্দনিকতা) এই গ্রহের জন্য
ক্ষতির কারণ হতে পারে। কাপড় তৈরিতে প্রচুর পরিমান শাক্তি, পানি ও অন্যান্য কাঁচামাল
প্রয়োজন (খরচ) হয়। উপদেষ্টা মেকেঞ্জি হিসাব করে দেখিয়েছেন যে, তুলার খামারে
ব্যবহৃত কীটনাশক থেকে প্রস্তুতকৃত কাপড় ধোলাই পর্যন্ত প্রতি কেজি কাপড় উৎপাদন করতে
প্রায় ২৩ কেজি গ্রীনহাউস গ্যাস উৎপন্ন হয়। ১৫ বৎসর পূর্বের তুলনায় মানুষের সকল প্রকারের (প্রায়) কাপড় ব্যাবহারের
সময়কাল অর্ধেক এ নেমে আসায় ব্যবহৃত এসব কাঁচামাল, অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায়,
দ্রুতগতিতে বর্জ্যে রূপান্তরিত হচ্ছে। আধুনিক পোশাকের প্রায় অর্ধেকই উৎপাদনের এক
বৎসরের মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু খুচরা বাজারের এই ধাবমান সম্প্রসারণ
পৃথিবীর ক্ষতির কারণ হচ্ছে।
তৈরি পোশাক শিল্পের দক্ষতা ও উৎপাদন প্রক্রিয়ার গতি বৃদ্ধিসহ ক্রেতার ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে ২০০০ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে বিশ্বের কাপড়ের উৎপাদন প্রায় দিগুন হয়েছে। গ্রীনপিস-এর মতে ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাপী পোশাকের বিক্রয় ১.৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০০২ সালেও ছিল ১ ট্রিলিয়ন ডলার। পরিবর্তনশীল পোশাকের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত নতুন ধরণের পোশাক বাজারজাত করে, যেমন স্পেনের মালিকানাধীন “যারা” বাৎসরিক ২০টিরও বেশি; সুইডেনের “এইচএনএম” করে ১৬টি পর্যন্ত। ক্রমাগত নতুন নিয়ে আসছে এবং প্রচলন বাতিল করছে।
তৈরি পোশাক শিল্পের দক্ষতা ও উৎপাদন প্রক্রিয়ার গতি বৃদ্ধিসহ ক্রেতার ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে ২০০০ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে বিশ্বের কাপড়ের উৎপাদন প্রায় দিগুন হয়েছে। গ্রীনপিস-এর মতে ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাপী পোশাকের বিক্রয় ১.৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০০২ সালেও ছিল ১ ট্রিলিয়ন ডলার। পরিবর্তনশীল পোশাকের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত নতুন ধরণের পোশাক বাজারজাত করে, যেমন স্পেনের মালিকানাধীন “যারা” বাৎসরিক ২০টিরও বেশি; সুইডেনের “এইচএনএম” করে ১৬টি পর্যন্ত। ক্রমাগত নতুন নিয়ে আসছে এবং প্রচলন বাতিল করছে।
শুধুমাত্র পরিমানেই নয়, কাপড়ের উৎপাদনের প্রক্রিয়ায়ও
পরিবর্তন হয়েছে। কাঁচামাল হিসাবে পলিস্টার প্রাকৃতিক কাঁচামালের চেয়ে অনেক সস্তা।
ফলে এখন সকল পোশাকই মিশ্র কাঁচামালে তৈরি হয় – বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তা পলিস্টারের
মিশ্রণে। পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের সময় এগুলো আলাদা করতে হয় যা খুবই জটিল। যেমন
যান্ত্রিক পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের বেবস্থায় সুতার মানের অবনতি হয়। এবং রানায়নিক
প্রক্রিয়ায় খরচ এতই বেশি হয় যে তা ব্যবসায়ীকভাবে বিবেচনাযোগ্য নয়; সামান্য কিছু
প্রতিষ্ঠানই এগুলো নিয়ে গবেসশনার কথা বিবেচনা করে। পুরান কাপড় আফ্রিকা বা এশিয়ায়
পাঠানোও অকার্যকর। যদিও সেখানকার স্থানীয় বাজার যথেষ্টই বড়, নিন্মমানের পলিস্টার
মিস্ত্রিত কাপড় মানেই তা বেশি দিন টিকবে না।
বৃহদাকার পোশাক তৈরির প্রতিষ্ঠান গুলোর বেশিরভাগই পরিবেশের উপর প্রভাব নিয়ে মাথা ঘামায় না। কিন্তু গুঁটি কয়েক প্রতিষ্ঠান এই শিল্পের অতীত দুর্নামের কারনে বাধ্য হয়ে পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। “এইচঅ্যান্ডএম” ইতোমধ্যে তাদের পণ্যে ব্যবহৃত বিষাক্ত ফ্লোরাইড এর মিশ্রণ এর ব্যবহার (যা কাপড়কে পানি নিরোধক করতে সহায়তা করে) বাতিল করেছে। এছাড়াও এটিই সেই প্রতিষ্ঠান যারা কীটনাশকমুক্ত ও যথাযত পানি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের আওতায় উৎপাদিত সর্বোত্তম তূলা ক্রয় করে। আমেরিকার খেলাধুলার সামগ্রী তৈরির বৃহৎ প্রতিষ্ঠান “নাইক” টুকরো করে তা জোড়া না লাগিয়ে আলাদা এক ধরণের জুতা তৈরি করে। এটি প্রায় ৬০% বর্জ্য হ্রাস করে। “প্যটাগনিয়া”, যারা ভ্রমন ও পরিব্রাজনের জিনিসপত্র তৈরি করে, সম্ভবত সবচেয়ে সহায়ক চিন্তা পোষণ করে, অন্তত তাদের ক্রেতাদের জন্য, মুনাফার জন্যে নয়। তারা তাদের ক্রেতাদের পুরান জিনিসপত্রের ব্যবহার দীর্ঘস্থায়ী করতে মেরামত করতে সাহায্য করে এবং শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে উৎসাহিত করে। মানুষকে অল্পসংখ্যক পোশাকের সর্বোত্তম ব্যাবহারে উৎসাহিতকরণ এই গ্রহের জন্য সহায়ক হবে। উত্তম ব্যব্যবসায়িক রীতি কক্ষনো বাতিল হয় না।
বৃহদাকার পোশাক তৈরির প্রতিষ্ঠান গুলোর বেশিরভাগই পরিবেশের উপর প্রভাব নিয়ে মাথা ঘামায় না। কিন্তু গুঁটি কয়েক প্রতিষ্ঠান এই শিল্পের অতীত দুর্নামের কারনে বাধ্য হয়ে পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। “এইচঅ্যান্ডএম” ইতোমধ্যে তাদের পণ্যে ব্যবহৃত বিষাক্ত ফ্লোরাইড এর মিশ্রণ এর ব্যবহার (যা কাপড়কে পানি নিরোধক করতে সহায়তা করে) বাতিল করেছে। এছাড়াও এটিই সেই প্রতিষ্ঠান যারা কীটনাশকমুক্ত ও যথাযত পানি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের আওতায় উৎপাদিত সর্বোত্তম তূলা ক্রয় করে। আমেরিকার খেলাধুলার সামগ্রী তৈরির বৃহৎ প্রতিষ্ঠান “নাইক” টুকরো করে তা জোড়া না লাগিয়ে আলাদা এক ধরণের জুতা তৈরি করে। এটি প্রায় ৬০% বর্জ্য হ্রাস করে। “প্যটাগনিয়া”, যারা ভ্রমন ও পরিব্রাজনের জিনিসপত্র তৈরি করে, সম্ভবত সবচেয়ে সহায়ক চিন্তা পোষণ করে, অন্তত তাদের ক্রেতাদের জন্য, মুনাফার জন্যে নয়। তারা তাদের ক্রেতাদের পুরান জিনিসপত্রের ব্যবহার দীর্ঘস্থায়ী করতে মেরামত করতে সাহায্য করে এবং শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে উৎসাহিত করে। মানুষকে অল্পসংখ্যক পোশাকের সর্বোত্তম ব্যাবহারে উৎসাহিতকরণ এই গ্রহের জন্য সহায়ক হবে। উত্তম ব্যব্যবসায়িক রীতি কক্ষনো বাতিল হয় না।